রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার মোঃ সিদ্দিক আলী
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় নরদাশ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে গোয়াল ঘরে আগুনে চারটি গরু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে । মঙ্গলবার (১৩ মে – ২০২৫) দিবাগত গভীর রাতে আহমেদ আলীর গরুর গোয়ালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তার ১২ লাখ টাকার গাভী ও আসন্ন ঈদে বিক্রি যোগ্য একটি ষাঁড় গরুও মারা গিয়েছে । আগুন লাগার বিষয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, গোয়ালে মশার কয়েল দেওয়া হয়নি। আশপাশে বিদ্যুৎতের ব্যবস্থা নেই। কিভাবে আগুন লেগেছে সেটি জানা যায়নি। এ অগ্নিকাণ্ডে দুটি গোয়াল পুড়ে গেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আগুন লেগেছে গভীর রাতে। তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল। পাশের বাড়ির এক ছেলে আগুন দেখে চিৎকার শুরু করে। এরপরে সবাই বের হয়ে সাবমারসিবল মোটরের পানি দিয়ে আগুন নেভাই। আগুন নেভানের পরে দেখা গেছে চারটি গরু ঘটনাস্থলে পুড়ে মারা গেছে। আরও তিনটি গরুর ঝলসে গেছে। সে গরুগুলোর শারীরিক অবস্থা ভালো না। মারা যেতে পারে। গ্রাম্য চিকিৎসক ডেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এতে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সংসার পরিচালনার একমাত্র সম্বল ছিল গরুগুলো। কিন্তু সে গরুগুলা পড়ে মারা গেল। এখানে একটা বড় ষাঁড় গরু ছিল। যেটা কোরবানি ঈদে বিক্রি করা হত। এছাড়া দুইটা গরুর অল্প কিছু দিনে বাচ্চা দিত। সেগুলো পুড়ে মারা গেছে। এতে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আহমেদ আলী বলেন, কৃষিকাজ ছাড়াও গবাদি পশু পালনের সংসদ চলে তার। এ কোরবানিতে লাখ টাকার বেশি দামের একটি গরু বিক্রি যোগ্য ছিল। কিন্তু সেটি আগুনে পুড়ে মারা গেছে। এছাড়া তিনটি গাভী গরু মারা গেছে। গোয়ালের মধ্যে হাঁস-মুরগি রাখার ঘর ছিল। সেটি পড়ে গিয়ে হাঁস-মুরগি মারা গেছে। মারা যাওয়া গরুগুলো মাটিতে পুতে রাখা হবে। আরো কয়েকটি গরু আগুনে অসুস্থ হয়েছে। সেগুলো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি খবর দিয়েছিল। বিষয়টি শুনেছি। আমরা তাদের জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়টি নিয়ে একটা আবেদন দিতে। সরকারি ভাবে যতটুকু সম্ভব আমরা তাদের সাহায্য করবো।